মিলনের পর মাসিক না হলে করণীয় – একটি গাইডলাইন

Last Updated on June 11, 2025 by বিডি কিক

অনেক নারী বা দম্পতির মনে এই প্রশ্ন উঠে: “মিলনের পর মাসিক না হলে করণীয় কী?” এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত প্রশ্ন এবং এর উত্তর নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর। এই ব্লগ পোস্টে আমরা স্বাস্থ্যসম্মত ও তথ্যভিত্তিকভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করব, যাতে আপনি সহজে বুঝতে পারেন কী করণীয় হতে পারে।


মিলনের পর মাসিক না হওয়ার সম্ভাব্য কারণ

১. গর্ভধারণ

যদি মাসিক নির্দিষ্ট সময়ে না হয় এবং আপনি অসুরক্ষিত সহবাস করে থাকেন, তবে গর্ভধারণ একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে। এ অবস্থায় প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং প্রাথমিক পদক্ষেপ।

২. মানসিক চাপ বা টেনশন

চাপ, উদ্বেগ এবং মানসিক অস্থিরতা নারীর হরমোনে প্রভাব ফেলে, যা মাসিক চক্রে পরিবর্তন আনতে পারে।

৩. হরমোনজনিত সমস্যা

থাইরয়েড সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS) বা অন্যান্য হরমোনজনিত ইস্যু থাকলে মাসিক অনিয়মিত বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

৪. ওজনের তারতম্য বা অতিরিক্ত ব্যায়াম

হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া, কিংবা অতিরিক্ত শরীরচর্চা মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে।


কীভাবে নিশ্চিত হবেন?

প্রেগনেন্সি টেস্ট করুন

  • আপনি ঘরে বসে ইউরিন প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারেন
  • টেস্ট করার সেরা সময় হলো শেষ সহবাসের ২১ দিন পর অথবা মাসিক মিস করার ৭ দিন পর

ডাক্তারের পরামর্শ নিন

যদি টেস্ট নেগেটিভ হয় কিন্তু মাসিক না আসে, তবে একজন গাইনি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তিনি আল্ট্রাসাউন্ড বা রক্তের রিপোর্ট দিয়ে নিশ্চিত করতে পারবেন সমস্যার উৎস।


করণীয় এবং পরবর্তী পদক্ষেপ

১. ঘরোয়া সতর্কতা

  • ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্য গ্রহণ করুন
  • পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক শান্তি বজায় রাখুন
  • হালকা ব্যায়াম করুন

২. মেডিকেল পরামর্শ

  • গর্ভধারণ হলে কীভাবে সুস্থভাবে গর্ভকালীন সময় কাটাবেন তা জানুন
  • গর্ভধারণ না হলে হরমোন বা অন্যান্য সমস্যা পরীক্ষা করান

কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

  • যদি মাসিক ২ সপ্তাহ বা তার বেশি বিলম্বিত হয়
  • যদি বমি, অতিরিক্ত ক্লান্তি বা পেটে ব্যথা অনুভব করেন
  • যদি একাধিক মাস মাসিক না হয় বা নিয়মিত অনিয়ম থাকে

উপসংহার

মিলনের পর মাসিক না হওয়া মানেই যে গর্ভধারণ হয়েছে, তা নয়। মানসিক চাপ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ওজনের তারতম্য—সবকিছুই ভূমিকা রাখতে পারে। তাই দুশ্চিন্তা না করে প্রথমেই ঘরে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করুন এবং প্রয়োজনে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Spread the love

Leave a Comment