Skip to content
Home » গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ সমূহ

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ সমূহ

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ সমূহ

গর্ভধারন এবং সন্তান প্রসব করা নারীর জীবনের নয় মাসের এক দীর্ঘ যাত্রা। মাতৃত্বের জন্য গর্ভধারন থেকে শুরু করে বাচ্চা প্রসব করা পর্যন্ত প্রত্যেকটি সপ্তাহ গুরুত্বপূর্ণ হলেও, গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের আলাদা এক তাৎপর্য রয়েছে মায়েদের কাছে। তাই গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ সমূহ নিয়ে মায়েদের কৌতুহলের শেষ নেই। চলুন জেনে নেই গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ সমূহ এবং কারনসমুহঃ 

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ সমূহ বিস্তারিত

১. পিরিয়ডঃ গর্ভবতী হওয়ার প্রথম লক্ষণ হচ্ছে আপনি অবশ্যই পিরিয়ড মিস করবেন। 

২. রক্তক্ষরণঃ গর্ভবতী হওয়ার রক্তক্ষরণ স্বাভাবিক ঋতুচক্রের মতই হয়ে থাকে। সাধারণত ৬- ১২ দিন হালকা রক্তপাত হতে পারে।

৩. বমি বমি ভাবঃ বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ সমূহের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষন।

৪. মাথার ব্যাথাঃ বমি বমি ভাব বা বমি হওয়ার কারনে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। যার জন্য গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহে মাথা ব্যাথা কিংবা মাথা যন্ত্রণার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৫. স্বপ্ন দেখাঃ গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহে নারীদের মাঝে স্বপ্ন দেখার অনেক প্রমান পাওয়া গেছে। সাধারণত এরা এই সময়ে গর্ভবতী হওয়ার স্বপ্নই দেখে থাকে।

৬. ক্লান্তিবোধঃ গর্ভবতী হওয়ারপর আপনি অযথাই ক্লান্তিবোধ করবেন। স্বাভাবিকের তুলনায় আপনার বেশি ঘুমিয়ে থাকতে মন চাইবে। 

৭. মুখে স্বাদ নষ্ট বা কমে যাওয়াঃ গর্ভকালীন সময়ে শরীরে হরমোন এর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। তাই এসময় মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া খুবি সাধারন বিষয়। 

৮. খাবারে অনীহাঃ মুখে স্বাদ নষ্ট বা কমে যাওইয়ার কারনে খাবারে অনীহা গর্ভবতী নারীদের মধ্যে পাওয়া কমন একটি বিষয়। এসময় এদের মধ্যে খাবারে অনীহা থাকে, এমনকি সবচেয়ে প্রিয় খাবার ও এদের ভালো লাগেনা।

৯. মেজাজ পরিবর্তনঃ গর্ভবতী নারীদের মধ্যে মেজাজের এক বড় পরিবর্তন দেখা দেয়। এটা সাধারণত হরমোনের পরিবর্তনের কারনে হয়ে থাকে। এসময় হটাত ই মেজাজ খারাপ, ভালো হয়। যখন হয়তো খুশি হওয়ার কথা আপনি মন খারাপ করে বসে আছেন, আবার হটাত-ই আপনার মন ভালো হওয়া। এরকম অনেক কিছুই এসময় হতে পারে।

১০. ঘন ঘন প্রস্রাবঃ সাধারনত এসময় শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন এর কারনে শরীরের অনেক কাজই স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত হয়। কিডনির ক্ষেত্রেও এরকমটা হতে পারে। কিডনির ক্ষেত্রে এরকম হলে ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া স্বাভাবিক একটা বিষয় একজন গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে।

১১. পেটে গ্যাসের সমস্যাঃ গর্ভবতী নারীর মধ্যে গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন – হটাৎ মনে হবে গ্যাস হয়েছে, তবে গ্যাস হওয়ার মত কিছু খাননি আপনি, পেট ভারী ভারী মনে হয়।

১২. গন্ধর প্রতি সংবেদনশীলতাঃ যেকোনো গন্ধ ভালো না লাগার লক্ষন গর্ভবতী নারীদের মাঝে প্রায়ই দেখা যায়। এমনকি যে গন্ধ টা তার পছন্দের সেটাও ভালো না লাগতে পারে।

১৩. স্তন সেন্সিভিটিঃ গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে স্তন সেন্সিভিটি অনেক সময়-ই দেখা দেয়। স্তন ফুলে যাওয়া, কোমলতা, তীব্র অনুভুতি কিংবা ব্যাথা হওয়া এরকম অনেক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।

৪.  শরীরের তাপমাত্রাঃ শরীরের তাপমাত্রা একটু বৃদ্ধি পেতে পারে গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহে।

১৫. মুখে বা গায়ে কালো ছোপঃ গর্ভবতী হওয়ার পরবর্তীতে নারীদের শরীরে নানা কালো ছোপ ছোপ দেখা দিতে পারে।

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ সমূহ কতটা কার্যকারী

উপরে প্রায় ১৫ টি লক্ষন আমরা দেখলাম, যেগুলো গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ হিসেবে মনে করা হয়। তবে এই লক্ষনগুলো দেখলেই যে গর্ভবতী গ্যারান্টি সহকারে বলা যাবে, বিষয়টি এমন কিন্তু নয়। কারন এগুলো কেবলই লক্ষন। লক্ষন প্রকাশ পেলে আপনার উচিত প্রেগনেন্সি টেস্ট করা। আবার কোন লক্ষন না পেলে যে আপনি গর্ভবতী না, এরকম টাও বলা যাবেনা। মানে লক্ষন সমূহ না প্রকাশ পেয়ে থাকা সত্ত্বেও আপনি গর্ভবতী হতে পারেন। এই জন্য একজন মহিলা সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হয় তা জানা উচিত।

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ সমূহ প্রকাশ পাওয়ার কি করা উচিত

আপনি একজন নারীর মধ্যে গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ সমূহ দেখার পর পর ই প্রথম কাজ হবে তার প্রেগনেন্সি টেস্ট করা। প্রেগনেন্সি টেস্ট রেজাল্ট পজিটিভ হলে একজন ডক্টর এর পরামর্শ মত চলা উচিত। আর টেস্ট রেজাল্ট নেগেটিভ হলে আপনার উচিত পরবর্তীতে আবার টেস্ট করা।

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ সমূহ নিয়ে এই ভিডিও টি দেখতে পারেন –

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *