ডায়াবেটিস রোগ নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। আমরা অনেকেই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় জানতে চাই, কিন্তু ডায়াবেটিস রোগ নিয়ে যদি আমাদের পূর্ণাঙ্গ ধারনা না থাকে তাহলে আমাদের নিজেদের পক্ষে এই নিয়ে সচেতন হওয়া সম্ভব হবে না।
ডায়াবেটিস নিয়ে আমাদের মধ্যে অবশ্যই সচেতনতা জরুরি কারন বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি দেখা রোগ গুলির মধ্যে ডায়াবেটিস একটি অন্যতম রোগ। এরকম পরিবারের সংখ্যা খুবি কম যেখানে ডায়াবেটিস রোগী নেই। প্রায় প্রত্যেক পরিবারে ডায়াবেটিস রোগী থাকার কারনে, অনেকেই এই রোগ কে অবমূল্যায়ন করে থাকে। যার ফলাফল হিসেবে খারাপ কিছু ঘটতে পারে, তাই আমাদের ডায়াবেটিস সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারনা রাখা উচিত।
ডায়াবেটিস কি
আমরা প্রায়ই মিষ্টি এবং শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহন করি, যেটাকে আমাদের দেহের ভিতর গিয়ে গ্লুকোজে রুপান্তরিত হয়। গ্লুকোজে রূপান্তরিত হওয়ার পর, এই গ্লুকোজ কে আমাদের দেহে থাকা ইনসুলিন নামক হরমোন বিভিন্ন কোষের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এরফলেই আমাদের দেহের কোষগুলো শক্তি উৎপাদন করতে পারে। কিন্তু আমাদের দেহে যদি পর্যাপ্ত ইনসুলিন না উৎপাদন হয়, তখন গ্লুকোজ গুলো কোষে না পৌছতে পারার কারনে, গ্লুকোজ আমাদের রক্তে মিশে যায়। যার ফলে আমাদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমিনা বেড়ে যায়। আর এটাকেই ডায়াবেটিস বলা হয়। অর্থাৎ ডায়াবেটিস হচ্ছে রক্তে গ্লুকোজের পরিমান বেড়ে যাওয়া।
ডায়াবেটিস কেন হয়
ডায়াবেটিস হয়ে থাকে আমাদের দেহের ইনসুলিন নামক হরমোনের অসামঞ্জস্যতার কারনে। আমাদের শরীর যদি তার প্রয়োজন মত ইনসুলিন উৎপাদন না করতে পারে, তখন গ্লুকোজ আমাদের রক্তে মিশে যায়, যার ফলে আমাদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমান বেড়ে যায়। ইনসুলিন ঠিকঠাক থাকলে এই গ্লুকোজ আমাদের কোষে পৌছায় এবং কোষ থেকে শক্তি উৎপাদন হয়। ইনসুলিনের অভাব হলে গ্লুকোজ কোষে পৌছতে পারেনা, তা আমাদের রক্তে মিশে যায়। যার ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমান বেড়ে যায়, এই কারনেই ডায়াবেটিস হয়ে থাকে।
ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
ডায়াবেটিস রোগীরা প্রায়ই বুঝতে পারেনা যে তাদের ডায়াবেটিস হয়েছে। কিন্তু আমরা যদি ডায়াবেটিস রোগের লক্ষন গুলো জানতে পারি, তাহলে আমরা সহজেই ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা বুঝতে পারব। চলুন জেনে নেই ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ সমূহ –
ঘনঘন প্রস্রাব
আমরা জানি, ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমান বেড়ে যায়। আর আমাদের শরীরের নিয়ম হচ্ছে, শরীরে থাকা অতিরিক্ত গ্লুকোজ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা ঘনঘন প্রস্রাব হওয়ার সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন।
পানি পিপাসা
ডায়াবেটিস রোগীদের ঘনঘন প্রস্রাব হওয়ার কারনে তাদের শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দেয়, যার ফলে তাদের ঘন ঘন পানি পিপাসা লাগে।
ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া
ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন কম থাকায় গ্লুকোজ দেহের কোষ গুলোতে পৌঁছাতে পারেনা,তাই কোষ সমুহ শক্তি উৎপাদন করতে ব্যর্থ হয়, ফলে শরীরে শক্তির ঘাটতি দেখা দেয়। এর ফলে শক্তির যোগান দিতে ডায়াবেটিস রোগীদের বার বার ক্ষুধা লাগে। এরপর খেলেও একি ভাবে সেই খাবার এনার্জিতে কনভার্ট হয়না, তাই ডায়বেটিস রোগীদের ঘন ঘন ক্ষুধা লাগে।
ক্লান্তি অবসাদ
রক্তে গ্লুকোজ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়লে ডায়াবেটিস রোগীদের হাইপারগ্লাইসেমিয়া দেখা দেয়। ফলে রোগীরা ক্লান্তি, অবসাদ বোধ করেন। এর ফলে এদের মেজাজ ও খিটখিটে হয়ে থাকে, সহজেই যেকোন কিছুতে বিরক্তি বোধ করেন।
দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া
হটাত দৃষ্টি শক্তিতে বড় পরিবর্তন ডায়াবেটিসের লক্ষন হতে পারে। কেননা অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস চোখের রেটিনা, স্নায়ু এর ক্ষতি করে, এর ফলে দৃষ্টি শক্তি কমে যায়। এই সমস্যাকে রেটিনোপ্যাথি বলা হয়।
মাথা ঘোরা
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে, তাই ডায়বেটিসের কারনে মাথা, কানের ক্ষতি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। যার ফলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা অনুভব করা ইত্যাদি
সমস্যা হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
ওজন কমে যাওয়া
আপনি যদি দেখেন কোন কারন ছাড়াই আপনার ওজন কমে যাচ্ছে, তাহলে এটি ডায়াবেটিসের পূর্বাভাস হতে পারে। ডায়বেটিসের কারনে শরীরের কোষগুলি গ্লুকোজ ঠিকভাবে পায়না, তাই শরীর এনার্জির জন্য গ্লুকোজ না পেয়ে শরীরের ফ্যাট/চর্বি (Fat), পেশি (Muscles) এর ক্ষতি করা শুরু করে। এর ফলে ডায়বেটিস রোগীদের ওজন কমতে থাকে।
কাটা/ঘা শুকাতে বেশি সময় লাগা
ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে থাকা অনিয়ন্ত্রিত গ্লুকোজ শরীরের সেল(Cell), নার্ভ(Nerves) সমুহকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। যার ফলাফল হিসেবে ডায়বেটিস রোগীদের শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা ঘা হলে তা শুকাতে অনেক বেশি সময় নেয়।যার ফলে এদের ইনফেকশনের ভয় থাকে।
হাত এবং পায়ের আঙ্গুলে অসাড় অনুভুতি
যেহুতু ডায়াবেটিস রোগীদের সেল(Cell), নার্ভ(Nerves) ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাই এদের হাত পায়ের আঙ্গুলে অনুভুতি কমে যায়। এই সমস্যাকে ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি বলা হয়।
এই লক্ষ্মণগুলি যদি যেকোনো একটা বা একের বেশি কারো মধ্যে দেখা যায়, তাকে অবশ্যই একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
এবার আমরা ডায়াবেটিস রোগের প্রতিকার সমুহ জানার চেষ্টা করবোঃ
প্রথমেই জেনে রাখা দরকার ডায়াবেটিস কাদের হয় ?
বা কারা ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে থাকেন ?
সাধারনত যাদের বংশের কেউ যেমনঃ ভাইবোন, মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানী ইত্যাদি এর কারো ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুকি সবচেয়ে বেশি। এছাড়া যেসব শিশুর মা গর্ভবতী অবস্থায় ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছিল, সেসব শিশুর ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি।
অলস জীবনযাপন, পরিশ্রম না করাও ডায়াবেটিস রোগের কারন হিসেবে বিবেচিত।
যাদের রক্তচাপ বেশি, কিংবা কিডনি সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।
ডায়াবেটিস রোগের প্রতিকার না প্রতিরোধ?
প্রথমেই জেনে রাখা দরকার ডায়াবেটিস রোগটি কখনো সম্পূর্ণ সেরে যায়না। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন এর মতে ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ না সেরে গেলেও একে সহজে নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়। তাই ডায়াবেটিস রোগের প্রতিরোধ সম্ভব না হলেও প্রতিকার করা সম্ভব।
ডায়াবেটিস কত প্রকার ও কি কি
ডায়াবেটিস রোগ সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস এই দুই ধরনকে ডায়াবেটিস টাইপ হিসেবে বলা হয়।
ডায়াবেটিস টাইপ
১. টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস
২. টাইপ টু ডায়াবেটিস
টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস কি
টাইপ ১ ও টাইপ ২ হচ্ছে ডায়াবেটিসের দুটি ধরন। কারো ডায়াবেটিস হলে সেই ডায়াবেটিস টাইপ ১ অথবা টাইপ ২ কিনা সেটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ডায়াবেটিস টাইপ এর উপর তার চিকিৎসা নির্ভর করে।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস (Types 1 Diabetes)
টাইপ ১ ডায়াবেটিস টাইপ ২ থেকে জটিল, এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা জটিল। এই ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীকে সারাজীবন চিকিৎসা নিতে হয়। কারন টাইপ ১ ডায়াবেটিস রোগীরা সামান্য ইনসুলিন উৎপাদন করে, কিংবা একদম-ই ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারেনা। ডায়াবেটিস টাইপ ১ কে বাচ্চাদের ডায়াবেটিস বা অপ্রাপ্তবয়স্কদের ডায়াবেটিস ও বলা হয়।
টাইপ ১ ডায়াবেটিসের কারন এখনও না জানা গেলেও, মনে করা হয় বংশগত কোন জেনেটিক সমস্যা কিংবা পরিবেশগত কারনে এটি হতে পারে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস কি
টাইপ টু ডায়াবেটিস কি
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগী সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীরা সাধারনত প্রাপ্ত বয়স্ক রোগী হয়ে থাকেন। এদের ইনসুলিন নিয়ন্ত্রন ক্ষমতা কমলেও তা সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মতি হাটা চলার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারেন।
টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীরা চিকিৎসা ছাড়াই ভালো থাকতে পারেন। এদের দরকার হয় শুধু নির্দিষ্ট লাইফস্টাইল ফলো(Follow) করা এবং নিয়ম মেনে চলা। তাই বলাই যায়, টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীরা টাইপ ১ এর চেয়ে ভালো থাকেন।
ডায়াবেটিস পরীক্ষা
ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা তা নিশ্চিতের এর জন্য ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা জরুরী। আপনি যেকোনো ভালো ডায়াগনস্টিক কিংবা হসপিটাল/ক্লিনিকে গিয়ে ডায়াবেটিস টেস্ট করাতে পারেন। ডায়াবেটিস পরীক্ষাকে রান্ডম ব্লাড সুগার (Random Blood Sugar) টেস্ট বলা হয়, অনেকে সংক্ষেপে একে RBS টেস্ট ও বলে থাকে।
আজকাল অনেক ঔষধের দোকানেও এই RBS টেস্ট করার ব্যবস্থা থাকে।
ঘরে বসে ডায়াবেটিস পরীক্ষা
আজকাল আপনি ঘরে বসেও ডায়াবেটিস টেস্ট করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে ডায়াবেটিস পরীক্ষার যন্ত্র কিনতে হবে। বিভিন্ন কোম্পানির এই ধরনের যন্ত্র পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্র
ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্র কে অনেকে সুগার মাপার যন্ত্র বলে থাকে। বিভিন্ন মেডিকেল শপে গেলেই ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্র কিংবা সুগার মাপার যন্ত্র কিনতে পারবেন।
ডায়াবেটিস মাপার Apps
সাধারন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য ডায়াবেটিস মাপার কোন Apps নেই। যেসব ডায়াবেটিস মাপার Apps প্লে স্টোরে পাওয়া যায়, সেগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফেক(Fake) ।
ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের দাম কত
ডায়াবেটিস মেশিনের দাম সাধারনত ৫০০টাকা থেকে ১০০০টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। এই বাজেট রেঞ্জেই ভালো ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্র কিনতে পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস পরিমাপ করার নিয়ম
ডায়াবেটিস আপনি পরিমাপের ক্ষেত্রে আপনি যদি কোন ক্লিনিক বা হসপিটালে গিয়ে ডায়াবেটিস পরিমাপ করান সেক্ষেত্রে আপনি সেখানকার ডাক্তারের নির্দেশনা ফলো করবেন। আর বাসায় ডায়াবেটিস পরিমাপ করার ক্ষেত্রে আপনি খালি পেটে কিংবা ভরা পেটে দুইভাবেই পরিমাপ করতে পারেন। ডায়াবেটিস মাপার নিয়ম হিসেবে আপনাকে আপনার ডায়বেটিস অনুযায়ী ডাক্তার যে নিয়ম ফলো করেন, সেটি মানলে ভালো রেজাল্ট পাবেন।
ডায়াবেটিসের মাত্রা
ডায়াবেটিসের মাত্রা বলতে রক্তে গ্লুকোজের পরিমান কে বুঝায়। চলুন জেনে নেই- রক্তের গ্লুকোজের পরিমান কত হলে ডায়াবেটিসের কেমন মাত্রা কে নির্দেশ করেঃ
টেস্টের নাম | নরমাল | প্রি-ডায়াবেটিস | ডায়াবেটিস |
Random Blood Sugar (RBS) | ৪.৪ থেকে ৭.৮ | ৭.৮ থেকে ১১ | ১১.১ এর বেশি |
Normal Blood Sugar | ৫.৬ এর চেয়ে কম | ৫.৬ থেকে ৬.৯ | ৭ এর সমান বা বেশি |
Hb A1c | ৫.৭ এর চেয়ে কম | ৫.৭ থেকে ৬.৪ | ৬.৫ এর সমান বা বেশি |
*সকল একক মোল/লিটারে দেয়া
*খালি পেটে
রক্তে সুগারের স্বাভাবিক মাত্রা
খালি পেটে রক্তে সুগারের মাত্রা ৫.৬ মোল/লিটার থেকে কম থাকলে হলে তাকে সুগারের স্বাভাবিক মাত্রা হিসাবে ধরে নেওয়া হয়। RBS এর ক্ষেত্রে খালি পেটে ৪.৪ – ৭.৮ মোল/লিটার কে স্বাভাবিক মাত্রা হিসাবে ধরা হয়।
HbA1c (Hemoglobin A1C) এর ক্ষেত্রে রক্তে সুগারের মাত্রা ৫.৭ মোল/লিটার কে স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়।
সুগারের মাত্রা কত হলে বুঝবেন ডায়াবেটিস
খালি পেটে রক্তে সুগারের মাত্রা ৫.৬-৬.৯ মোল/লিটার ডায়াবেটিসের প্রথম স্টেজ হিসেবে ধরা হয়। RBS টেস্টের ক্ষেত্রে ৭.৮-১১.১ মোল/লিটার ডায়াবেটিসের প্রথম স্টেজ। আর সুগার মাত্রা যদি ১১.১ এর চেয়ে বেশি হয় তাহলে পূর্ণাঙ্গ ডায়াবেটিস রোগী হিসেবে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
RBS টেস্টের ক্ষেত্রে সুগার লেভেল ৭.৮-১১.১ মোল/লিটার হলে, এটি নরমাল।
খালি পেটে ডায়াবেটিস কত থাকে
খালি পেটে সুগার লেভেল ৫.৬-৬.৯ মোল/লিটার থাকলে ডায়াবেটিস ভালো অবস্থায় আছে ধরা হয়।
ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
ডায়াবেটিস চিকিৎসা নির্ভর করে রোগীর কোন টাইপের ডায়াবেটিস রয়েছে। অবশ্যই কোন ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে ডায়াবেটিস চিকিৎসা করানো উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী লাইফস্টাইল ফলো,নিয়মিত ওষুধ খাওয়া এবং খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার সম্ভব।
প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস চিকিৎসা
প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস চিকিৎসা বলতে কোন ভেষজ খেয়ে ডায়াবেটিস সেরে যাবে, এমন কিছু নয়। তবে ডায়াবেটিস প্রতিরোধী বিভিন্ন ফলমুল খাওয়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
টক জাতীয় ফল, এবং নিয়মতি শাক সবজি ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত খাওয়ে উচিত। চায়ের ক্ষেত্রে গ্রিন-টি খাওয়া বেশি উপকারি।
সর্বোপরি ডায়াবেটিস রোগী হিসেবে, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা জরুরী। সঠিকভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করলে আপনি খুব সহজেই ভালো থাকতে পারবেন।