বিয়ের পর সহবাস এবং মাসিক নিয়ে নারীদের মনের মধ্যে অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করে। কোন নারী যদি কিংবা তার স্বামী যদি সন্তান না নিতে চান, তাহলে সহবাসের পর মাসিক না হলে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা কাজ করে। কেননা অনেকেই মনে করেন, সহবাসের পর নির্ধারিত সময়ে পিরিয়ড বা মাসিক না হওয়ার মানেই প্রেগনেন্সি। এটা ১০০% নিশ্চয়তা দিয়ে বলা সম্ভব নয় যে, আপনি সহবাস করার পর নির্ধারিত সময়ের মাসিক মিস করেছেন মানেই আপনি প্রেগনেন্ট। কারন অনিয়মিত মাসিক সমস্যা থাকলে কিংবা হলে সহবাসের পর ঠিক সময় মাসিক নাও হতে পারে।
তাই সহবাসের পর মাসিক না হলে চিন্তার কোন কারন নেই। চলুন এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলাপ করা যাক।
সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয়

সহবাসের পর যদি মাসিকের চক্র অর্থাৎ মাসিকের সময় অনুযায়ী আপনার মাসিক না হয়, তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনি প্রেগনেন্ট কিনা সেটা কনফার্ম হয়ে দেখতে পারেন। এই জন্য সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হয় এটা জানা জরুরি। সাধারনত আপনি সহবাসের ২১ দিন পরে একবার প্রেগনেন্সি টেস্ট করে দেখতে পারেন, তবে এই সময় রেজাল্ট ১০০% কনফার্ম না। তারপর ও আপনি সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয় হিসেবে একবার প্রেগনেন্সি টেস্ট করে নিন । সহবাস থেকে মোটামুটি ১৪ দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করলে আপনি বুঝতে পারবেন প্রেগনেন্ট কিনা। এবার রেজাল্ট অনুসারে আপনি একজন গাইনোকোলজিস্ট এর কাছে পরামর্শ নিতে পারেন। আপনি যদি মনে করেন ভুল বসত বা, অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে প্রেগনেন্ট হয়েছেন, তাহলে আপনি এখন কি করতে চান সেই বিষয়ে গাইনোকোলজিস্ট কে বলুন, তিনি আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবেন। মনে রাখবেন সহবাসের পর মাসিক না হলে এর মানেই যে আপনি কনফার্ম প্রেগনেন্ট, বিষয়টা এমন না।
স্বামী এবং স্ত্রীর ক্ষেত্রে সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয়
স্বামী ও চিন্তায় পরে যায় যখন সহবাসের পর তার স্ত্রী মাসিক মিস করে, স্ত্রী প্রেগ্নেন্ট হলো নাকি তার মাসিকের চক্রই এলোমেলো হলো এরকম দুশ্চিন্তা মাথায় আসে। তবে দুশ্চিন্তা না করে যেটা উচিত হবে সেটা হচ্ছে সময়মত স্ত্রীর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা। এই জন্য একজন গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখালে সবচেয়ে ভালো হবে।