খুশকি মানেই চুলের বিপদ। আপনার চুলের সর্বনাশ করাই এদের ধর্ম। চুল পড়া, চুলের রুক্ষ হয়ে যাওয়া,ইচি স্ক্যাল্প এই রকম সমস্যা নিয়ে এরা আপনার রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। তাই খুশকি দমনে আপনি তৎপর না হলে আপনার সাধের মাথা ভরা চুল কিছুদিনেই টাকে পরিনত হবে।
মাথায় খুশকি হওয়ার কারণ
শুষ্ক ত্বক
শীতের সময় আবহাওয়ার আর্দ্রতা কমে যাওয়ার ফলে দেহের ত্বকের পাশাপাশি মাথার ত্বক ও শুষ্ক হয়ে যায়। যার কারনে খুশকি বেশি হয়ে থাকে। এ ছাড়া এসময় বাইরের ঠান্ডা বাতাস ও ঘরের তুলনামূলক গরম বাতাসের ফলে তাপমাত্রার যে অস্বাভাবিকতা দেখা যায় সে কারণে ও খুশকি হতে পারে।
চুল যথেষ্ট পরিমানে না আঁচড়ানো
চুল যথেষ্ট পরিমানে না আঁচড়ালে ও খুশকি হতে পারে। যদি চুল কম আঁচড়ানো হয় তবে মাথার ত্বকের চামড়ার ঝড়ে যাওয়ার প্রবণতা অনেক কমে যায়। যার ফলে খুশকির সৃষ্টি হয়।
সঠিক খাদ্যাভাসের অভাব
সঠিক খাদ্যাভাসের অভাব ও খুশকির সৃষ্টির অন্যতম কারণ। যদি গৃহীত খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি ও জিংক না থাকে তাহলে ও খুশকি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া অধিক পরিমাণে চর্বি জাতীয় খাদ্য খেলে ও খুশকি হতে পারে।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ
অতিরিক্ত মানসিক চাপও খুশকির অন্যতম কারণ।যারা অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন তাদের খুশকির প্রবণতা বেশি পরিলক্ষিত হয়।
পানি সমস্যার কারণে
অনেক সময় পানির সমস্যার কারণে ও খুশকি হতে পারে। যদি পানিতে ক্লোরিনের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে ত্বক তারাতাড়ি শুষ্ক হয়ে যায় এবং খুশকির পরিমাণ বেশি হতে পারে।
চুলের খুশকি দূর করার উপায়
শ্যাম্পু ব্যবহার
যাদের প্রায়ই খুশকি হয় তাঁরা নিয়মিত চুলে পরিমিত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
খ্যাদ্যাভাসে পরিবর্তন
চুলের খুশকি নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভাসের পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এজন্য মাথার ত্বক ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে শাক সবজি খাওয়া খেতে হবে। এবং চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা
চুল খুশকি মুক্ত রাখার অন্যতম উপায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা।চুল অপরিষ্কার থাকলেই খুশকি বেশি হয়।তাই নিয়মিত চুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
ভেজা চুল জলদি শুকিয়ে নেওয়া
ভেজা অবস্থায় চুল বেঁধে রাখা ঠিক নয়, এতে খুশকি হতে পারে। তাই স্নানের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চুল মুছে নিতে হবে। চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নেওয়া ভালো।
খুশকি দূর করার শ্যাম্পু
মাথার ত্বকে ম্যালেসেজিয়া নামক ফাঙ্গাসের পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারলে বা নষ্ট করতে পারলেই খুশকি কমে যাবে। তাই খুশকি দূর করার জন্য ডাক্তারগণ একমাত্র বিজ্ঞান ভিত্তিক ছত্রাকনাশক শ্যাম্পু কিটাকোনাজল( Ketoconazole 2%) ব্যবহারের উপদেশ দিয়ে থাকেন। তাই খুশকি দূর করার শ্যাম্পু এর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
খুশকি দুর করার আর উপায় জানতে পড়তে পারেন খুশকি দূর করার উপায় (প্রমাণিত ও কার্যকারী)
আপনার জন্য শুভ কামনা ।